কোটা সংস্কার
প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ১৯: ১৬
রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধের এক ঘণ্টা পর রাস্তা ছেড়ে দিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অবরোধ তুলে নেওয়ার পর আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সব বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি বৈঠক করে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷
এর আগে কোটাবৈষম্য নিরসনের এক দফা দাবিসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে আজ বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর ব্যানারে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে আসেন৷
শাহবাগ মোড়ের সড়কে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান ও বক্তব্য দেন আন্দোলনকারীরা। পৌনে ছয়টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে যোগ দেন ঢাকা কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও। অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড় দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়। তবে এ সময় অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবার গাড়িগুলো চলাচলের জন্য শিক্ষার্থীরা পথ তৈরি করে দেন।
সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু বাকের মজুমদার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সব বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলায় জেলায় আমাদের অনলাইন-অফলাইন প্রতিনিধি বৈঠক হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেব। আমাদের এক দফা দাবি সরকারকে অবশ্যই আমলে নিতে হবে।’
আবু বাকেরের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের ও মাহিন সরকার।
এক যুবককে মারধর:
শাহবাগের অবরোধ থেকে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অভিমুখী সড়ক ধরে দৌড় দেয়। এই প্রতিবেদক তাদের অনুসরণ করতে গিয়ে দেখতে পান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ফটকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এক যুবককে ঘিরে ধরে মারধর করছেন। মুঠোফোনে ঘটনার ছবি তুলতে গেলে আন্দোলনকারীরা এই প্রতিবেদককে ছবি তুলতে দেননি।
জানতে চাইলে একাধিক আন্দোলনকারী প্রথম আলোকে বলেন, শাহবাগের সড়কে অবরোধ চলা সত্ত্বেও ওই যুবক বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন৷ তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেছেন৷ তাৎক্ষণিকভাবে ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলাও সম্ভব হয়নি।