এএফপি
ওয়াশিংটন
আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৬: ১৮
এফবিআইয়ের ফাইল ছবিতে খালিদ শেখ মোহাম্মদছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত খালিদ শেখ মোহাম্মদের সঙ্গে গত বুধবার সমঝোতা চুক্তি হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে ঘোষণার দুই দিন পর গতকাল শুক্রবার চুক্তিটি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। সম্ভাব্য মৃত্যুদণ্ড এড়াতে খালিদ ও তাঁর দুই সহযোগী কথিত ওই সমঝোতা চুক্তি করেছিলেন বলে শোনা যাচ্ছিল।
বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন খালিদ শেখ মোহাম্মদ ও তাঁর দুই সহযোগীর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণার পর ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিহত ব্যক্তিদের কয়েকজন স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবার তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হলো।
এসব মামলা তদারক করছেন সুসান এসকালিয়ার। সুসানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে অস্টিন লিখেছেন, ‘অভিযুক্তের সঙ্গে বিচারপূর্ব চুক্তিতে পৌঁছানোর সিদ্ধান্তের যে তাৎপর্য রয়েছে তার আলোকে…এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব যে আমার ওপরই বর্তায়, সেটা মেনে নিচ্ছি।’
চিঠিতে বলা হয়, ‘আমি ওপরে উল্লিখিত ক্ষেত্রে ঘোষণা করছি, গত ৩১ জুলাইয়ে স্বাক্ষরিত তিনটি বিচারপূর্ব সমঝোতা চুক্তি প্রত্যাহার করা হলো।’
কিউবার গুয়ানতানামো বেসামরিক ঘাঁটিতে বেশ কয়েক বছর ধরে খালিদ এবং দুই সহযোগীকে আটক রাখা হয়েছে। ৯/১১ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো বছরের পর বছর ধরে বিচারপূর্ব অবস্থায় আটকে আছে। ৯/১১ হামলার পরের বছরগুলোয় সিআইএ-এর হাতে পদ্ধতিগত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন খালিদ এবং তাঁর সহযোগীরা। এখন সুষ্ঠুভাবে তাঁদের বিচার করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েই মূলত আইনি জটিলতা চলছে।
চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, খালিদ শেখ মোহাম্মদ, ওয়ালিদ বিন আতাশ এবং মুস্তফা আল-হাওসাউয়ির সঙ্গে মার্কিন সরকারের একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, এ সন্দেহভাজনেরা তাঁদের দোষ স্বীকার করবেন। আর এর বিনিময়ে তাঁদের এমন মামলায় বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই মিলবে, যে মামলায় তাদের মৃত্যুদণ্ড হতে পারত।
সাবেক আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সবচেয়ে আস্থাভাজন ব্যক্তিদের একজন হিসেবে পরিচিত খালিদ।
আরও পড়ুন
৯/১১ হামলার পরিকল্পনাকারী খালিদের সঙ্গে সমঝোতার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
১৯৮০-এর দশকে আফগানিস্তানে বিন লাদেনের পাশাপাশি লড়াই করেছেন খালিদ। তবে লাদেনের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে উঠেছে আরও ১০ বছর পর। তখন খালিদ যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনা শুরু করেন। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানো হয়। ২০০৩ সালের মার্চে খালিদ পাকিস্তানে আটক হন। এরপর তিন বছর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর গোপন কারাগারে ছিলেন খালিদ। ২০০৬ সালে তাঁকে কিউবার গুয়ানতানামো বে কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।