নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ২০: ২১
ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় দুপুর থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। এরমধ্যে সেখানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে আজ মঙ্গলবার বিকেলেছবি: তানভীর আহাম্মেদ
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরেক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর নাম–পরিচয় জানা যায়নি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সায়েন্সল্যাব এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন।
দুপুর ২টা থেকে ওই এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলছে। এর আগে বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনে একদল লোক এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী ওই যুবকের পরিচয়ও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন
ছাত্রলীগ–পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৫
সন্ধ্যায় যাঁর মৃত্যু হয়েছে তাঁর বয়সও ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তিনি আহত অবস্থায় সিটি কলেজের সামনে রাস্তায় পড়ে ছিলেন বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, পথচারীরা ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে পাশের পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর পরনে ছিল কালো জিন্সের প্যান্ট ও কালো গেঞ্জি।
আহত আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিচ্ছেন তাঁর সহপাঠীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে আজ মঙ্গলবার বিকেলেছবি: তানভীর আহাম্মেদ
ওই যুবকের মৃতদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বলে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিহত যুবকের মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
ওই এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে এই দুজনের মৃত্যু ছাড়াও অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও শতাধিক শিক্ষার্থী। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্র–যুবলীগের অবস্থান থেকে তাঁদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে পাঁচ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে আজ চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষে আরও চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন ও রংপুরে একজন রয়েছেন। দুপুরের পর ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে আরও কয়েক শ মানুষ আহত হয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখনো অনেক জায়গায় সংঘর্ষ চলছে।